কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় আমন ধান কাটাই-মাড়াই শেষ হতেই তীব্র শীত আর শৈত্যপ্রবাহকে উপেক্ষা করে বোরো চাষাবাদের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, চলতি বছরে ফুলবাড়ী পৌর এলাকাসহ উপজেলার সাত ইউনিয়ন এলাকায় ১৪ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ৭৩৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের মধ্যে কৃষি বিভাগ থেকে বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।
আমন ধান কাটাই-মাড়াই শেষ করেই এলাকার কৃষকরা কোমর বেধে নেমে পড়েছেন ইরি-বোরো চাষের দিকে। কৃষকরা ইরি-বোরো চাষের প্রথম পর্যায়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বীজতলা তৈরি নিয়ে। তবে ইরি-বোরো চাষের জমিতে কেউ কেউ সরিষা চাষ করছেন। বীজতলা তৈরি শেষ হওয়ার পরপরই সরিষা উঠে আসবে। তখন একই জমিতে ইরি-বোরো বীজ রোপণ করবেন চাষিরা। ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহকে উপেক্ষা করে দল বেঁধে বীজতলা পরিচর্যাসহ বোরো ক্ষেত তৈরিতে কাজ করছেন কৃষিশ্রমিকরা।
উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের বোরো চাষি তারাপদ রায় বলেন, শীত নামার আগেই বীজ বপন করলে বীজতলায় বেশি চারা গজায় এবং রোগ-বালাই মুক্তভাবে সুস্থভাবে চারা বেড়ে ওঠে। এতে বীজতলার ক্ষতি কম হওয়াসহ অল্প বীজে অধিক জমিতে চারা রোপণ করা যায়। এ কারণে আগেভাগেই বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
শিবনগর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের যোতিশ চন্দ্র রায় বলেন, এলাকার অনেক কৃষক আমন ধান কাটাই-মাড়াই শেষ করেই ইরি-বোরো ধানের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করেছে। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলার চারা গাছ হৃষ্টপুষ্ট হয়ে সবুজে ভরে উঠেছে বীজতলা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার বলেন, চলতি ইরি-বোরো চাষ মৌসুমে উপজেলার প্রতিটি এলাকায় বীজতলা তৈরি এবং বোরো আবাদের জমি তৈরি কাজ চলছে। বীজতলার বীজের চারাগাছ যাতে সুস্থ ও সবলসহ ভালো হয় সেজন্য কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শসহ সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রত্যক্ষভাবে এ বিষয়ে কাজ করছেন।
সুত্রঃ ইত্তেফাক/এম ইসলাম