কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : চেনা-অচেনা ও দেশি-বিদেশি ফলের বাহারি আয়োজন নিয়ে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে শুরু হয়েছে জাতীয় ফল প্রদর্শনী ২০১৬। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী চলবে আজ শনিবার বিকেল পর্যন্ত । মৌসুম ছাড়াই বছরের প্রায় পুরোটা সময়জুড়ে পাওয়া যাবে রকমারি জাত আর বাহারি নামের সুস্বাদু সব আম। রোপণের তিন বছরের মধ্যেই গাছে ধরবে বেশি শাঁসযুক্ত আর পানিসমৃদ্ধ নারকেল। পরিকল্পিত চাষাবাদে বাড়ির আঙিনা কিংবা ছাদেই ফলবে পুষ্টিগুণের আধার নানা জাতের দেশি ফল। বৃহস্পতিবার সকালে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এই প্রদর্শনী ও ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষের উদ্বোধন করেন।
ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘অর্থ পুষ্টি স্বাস্থ্য চান, দেশি ফল বেশি খান’। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মিল্কী মিলনায়তন চত্বরে আয়োজিত প্রদর্শনীতে ঢুকতেই চোখে পড়বে জাম, জামরুল, পেয়ারা, সফেদা, লটকনসহ বিভিন্ন ফল দিয়ে তৈরি তোরণ। চত্বরের আরও ভেতরে তৈরি করা হয়েছে ফলের পিরামিড। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৩০টির বেশি স্টল বসেছে এই প্রদর্শনীতে।
প্রদর্শনীর স্টলে দায়িত্বরত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, অধিদপ্তর সারা বছর বিভিন্ন ফলের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করে। সাধারণ মানুষকে এসব ফলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য এই প্রদর্শনী একটা বড় সুযোগ। প্রদর্শনীতে ঢুকতেই আমের স্টলগুলো ঘিরে আমজনতার ভিড় বেশি দেখা গেল। তাঁদের অনেকেই বললেন, গৌড়মতী, কোহিতুর, কালাপাহাড়, সুবর্ণরেখা কিংবা সীতাভোগের মতো অপ্রচলিত জাতের আম চোখে দেখা দূরে থাক, নামও শোনেননি পর্যন্ত।
প্রদর্শনীতে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন ফলের আলাদা স্টল রয়েছে। যেমন পাহাড়ি অঞ্চলের ফল, উত্তরাঞ্চলের ফল, উপকূলীয় অঞ্চলের ফল, ভাওয়াল ও মধুপুর গড় অঞ্চলের ফল। বিভিন্ন দেশি ফলের মধ্যে আছে করমচা, কাউফল, অড়বরই, বেতফল, ডেউয়া, খেজুর, আমলকী, আঁশফল, বিলাতি গাব এবং হনুমানজটা, অগ্নিশ্বরসহ বিভিন্ন জাতের কলা।
কৃপ্র/কে আহমেদ/এম ইসলাম