কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : যে সার গরু,মহিষ, ভেড়া, হাঁস, মুরগি ইত্যাদি গৃহপালিত জীব জন্তুর মলমূত্র মিশ্রিত খড়/কুঁটো সহযোগে খামার প্রাঙ্গণের একপাশে জমা করা হয় বা তৈরি করা হয় সেটিই খামারজাত সার।খামারজাত সারের তিনটি প্রধান অংশ হচ্ছে পশুর মল, পশুর মূত্র ও গোয়ালঘরে ব্যবহৃত খড় বা নাড়া এসব বিছানা।
খামারজাত সারে মলের চেয়ে মূত্র ভাগে অধিকতর খাদ্য উপাদান বিশেষ করে নাইট্রোজেন ও পটাশিয়াম থাকে।তাই খামারজাত সারে মূত্রেও বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়। গোয়াল ঘরের মেঝে হতে মূত্র সহজেই গড়িয়ে অন্যত্র বা নিচের দিকে চলে গিয়ে নষ্ট হয়।তাই মেঝেতে খড়/নাড়া/তুষ বা কাঠের গুঁড়োর বিছানা পেতে দিলে তাতে মূত্র শোষিত হয়ে থেকে যায়। এ বিছানা মলের অংশে মিশিয়ে পচালে উন্নতমানের খামারজাত সার প্রস্তুত হয়। প্রতিদিন পশু প্রতি ১/২-৩ কেজি পর্যন্ত মূত্র পাওয়া যায়। সম্ভব হলে গরু বাছুর যে দিকে দাঁড়িয়ে খড়/কুঁটো খায় তার পেছনের দিকে নালা করে সে বরাবর একটি পাকা গর্তে মূত্র করার ব্যবস্থা করলে মূত্রের অপচয় রোধ করা যায়।
জমাকৃত মূত্র একটি পুরোনো ভান্ডের সাহায্যে উঠিয়ে গোবরের গাদায় বা সরাসরি জমিতে ব্যবহার করা যায়। খামারজাত সারের পরিমান ও গুণাগুণ নির্ভর করে জীব জন্তুর শ্রেণী, তাদের বয়স, খাদ্যের বিভিন্নতা,গোয়াল ঘরের বিছানায় ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, গাদায় সংরক্ষণ ব্যবস্থা এসবের ওপর। এ সার ভালোভাবে পচলে জমিতে ব্যবহার উপযোগী হয়।
কৃপ্র/কে আহমেদ/এম ইসলাম