কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের ডাল ফসল চাষ করা হয়। মাস কলাই এ ডাল ফসলের মধ্যে অন্যতম। এর ইংরেজি নাম Black gram বা Urid bean এবং বৈজ্ঞানিক নাম Vigna mungo. এটি হচ্ছে একটি আমিষ জাতীয় খাদ্য ফসল। দেশের উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চল, বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাস কলাই-এর চাষ বেশি হয়ে থাকে। দেশের উত্তরাঞ্চলের জন্য এটি হচ্ছে একটি জনপ্রিয় ডাল। বর্তমানে আমাদের দেশের অন্যান্য এলাকাতেও মাস কলাই-এর চাষ করা হচ্ছে। অনেক অঞ্চলে এখন ব্যবসায়িক ভিত্তিতেও মাস কলাই চাষ ও বাজারজাত করা হচ্ছে। একজন বেকার নারী বা পুরুষ নিজের কর্মসংস্থান ব্যবস্থার জন্য মাস কলাই চাষ করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মাস কলাই-এ প্রায় শতকরা ২০-২৩ ভাগ আমিষ থাকে।
বাজার সম্ভাবনাঃ আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ মাংস থেকে তাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারে না। সেক্ষেত্রে মাস কলাই ডাল এসব মানুষের আমিষের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। সব শ্রেণীর মানুষই তাদের দেহের প্রয়োজনীয় আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য মাস কলাইয়ের ডাল খায়। মাস কলাই উৎপাদন করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাড়তি আয় করা সম্ভব। এছাড়া দেশের চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত উৎপাদন বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বিভিন্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সহায়তা দিয়ে থাকে। মাস কলাই বিদেশে রপ্তানি করার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
মাস কলাই চাষের উপযোগী পরিবেশ ও মাটি
জলবায়ু | মাটির প্রকৃতি |
এলাকাভেদে বপন সময়ের তারতম্য দেখা যায়। খরিপ-১ মৌসুমে মধ্য ফাল্গুন থেকে ৩০ ফাল্গুন (ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মধ্য মার্চ) ও খরিপ-২ মৌসুমে ১লা ভাদ্র থেকে ১৫ ভাদ্র (আগস্টের ১৫-৩১) এসময়ে বীজ বপন করা যায়। দেশের মধ্যাঞ্চলে আশ্বিন মাসের শেষ পর্যন্ত সময়ে বীজ বোনা যায়। | সব ধরণের মাটিতে মাস কলাই চাষ করা যেতে পারে। তবে সুনিষ্কাশিত দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি মাসকলাই উৎপাদনের জন্য বেশি উপযোগী। |
জাতঃ বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট মাস কলাই-এর কয়েকটি উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে।
বারি মাস-১ (পান্থ)
১. ১৯৯০ সালে বারি মাস-১ বা পান্থ জাতটি চাষের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
২. গাছের উচ্চতা ৩২-৩৬ সে.মি।
৩. বীজের রঙ কালচে বাদামী ও পাকা ফলের রঙ বাদামী।
৪. এ জাতটি দিন নিরপেক্ষ, তাই খরিপ-১, খরিপ-২ ও বিলম্ব রবি মৌসুমে চাষ করা সম্ভব।
৫. জীবনকাল ৭০-৭৫ দিন।
৬. প্রতিবিঘা জমিতে গড় ফলন প্রায় ২০০ কেজি।
৭. বংশগতভাবে জাতটি হলুদ ভাইরাস ও পাতার দাগ রোগ সহনশীল।
* বারি মাস-২ (শরৎ)
১. ১৯৯৬ সলে এই জাতটি চাষের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
২. গাছের উচ্চতা ৩৩-৩৫ সে.মি. ও স্থানীয় জাতের মতো লতানো হয় না।
৩. পত্র ফলকগুলি মাঝারি সরু।
৪. পাকা ফলের রঙ কালচে, ফল খাড়া ও ফলের গায়ে শয়া বা শুং আছে।
৫. বীজের আকার স্থানীয় জাতের চেয়ে বেশ বড় ও এক হাজার বীজের ওজন ৩২-৩৬ গ্রাম।
৬. আমিষের পরিমাণ ২১-২৪%।
৭. জীবনকাল ৬৫-৭০ দিন।
৮. প্রতিবিঘা জমিতে গড় ফলন প্রায় ২২০ কেজি।
৯. জাতটি দিন নিরপেক্ষ, তাই খরিপ-১, খরিপ-২ ও বিলম্ব রবি মৌসুমে চাষ করা যায়।
১০. বংশগতভাবে জাতটি হলুদ ভাইরাস ও পাতার দাগ রোগ সহনশীল।
*বারি মাস-২ (হেমন্ত)
১. ১৯৯৬ সলে এ জাতটি কৃষক পর্যায়ে চাষাবাদের জন্য অনুমোদন করা হয়।
২. গাছের উচ্চতা ৩৫-৩৮ সে.মি. ও স্থানীয় জাতের মতো লতানো হয় না।
৩. ফল পাকলে কালো হয় এবং ফলের গায়ে ঘন শয়া বা শুং আছে।
৪. বীজের রঙ কালচে এবং আকার স্থানীয় জাতের চেয়ে বড়।
৫. এক হাজার বীজের ওজন ৪০-৪৫ গ্রাম।
৬. জীবনকাল ৭০-৭৫ দিন।
৭. এক বিঘা জমিতে গড় ফলন প্রায় ২৪০ কেজি।
৮. জাতটি দিন নিরপেক্ষ, ফলে খরিপ-১, খরিপ-২ ও বিলম্ব রবি মৌসুমে চাষ করা হয়।
৯. এ জাত হলদে মোজাইক রোগ ও পাতার দাগ রোগ সহনশীল।
* বিনা মাস-১
১. ফলন ও অন্যান্য গুণাগুণ স্থানীয় জাতের চেয়ে ভালো; তাই সারা দেশে চাষাবাদের জন্য ১৯৯৪ সালে এ জাতটি অনুমোদন লাভ করে।
২. বিনা মাস-১ এর কান্ড শক্ত খাড়া।
৩. গাছের উচ্চতা ২০-২৫ সে.মি.।
৪. মাতৃজাত থেকে ফলন সর্বোচ্চ ৩১% বেশি।
৫. বীজের রঙ কালো।
৬. আমিষের পরিমাণ ২৫-২৬%।
৭. প্রতি বিঘা জমি থেকে গড় ফলন প্রায় ১৩০ কেজি।
৮. বীজ বপন থেকে কাটা পর্যন্ত এলাকাভেদে ৮০-৮৫ দিন সময় লাগে।
৯. এ জাত হলুদ মোজাইক ও পাতা পচা রোগ সহনশীল।
জমি তৈরি
১. একক ফসল হিসেবে মাস কলাই চাষ করলে ২-৩টি চাষ ও ৪-৫ বার মই দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে। এতে বীজের অংকুরোদগমের হার বেড়ে যায় এবং ফসলের বৃদ্ধিও ভালো হয়।
২. দানা জাতীয় ফসলের সাথে আন্তঃফসল হিসেবে এর চাষ করা হলে জমি দানা জাতীয় ফসলের জন্য তৈরি করলেই হবে।
৩. ফসলকে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক করে তুলতে হলে ৩-৪টি চাষ ও ভালোভাবে মই দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে।
বীজ বপন
১. বাংলাদেশে মাস কলাইয়ের চাষ একক, আন্তঃ, মিশ্র ও সাথী ফসল হিসেবে করা হয়ে থাকে।
২. দুইভাবে এর বীজ বপন করা যায়। ছিটিয়ে ও সারি করে।
৩. লাইন বা সারি করে মাস কলাই চাষ করলে বেশি ফলন পাওয়া যায়।
৪. সারিতে বীজ বপন করলে সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩০ সে. মি. এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১০ সে. মি. রাখতে হবে।
৫. বীজ কিছুটা গভীরতায় বপন করলে অংকুরোদগম ভালো হবে এবং পাখি বীজ নষ্ট করতে পারবে না।
৬. বীজ ৩-৪ সে. মি. গভীরে বপন করতে হবে।
সার প্রয়োগ
কৃষকদের মতে গুণগত মানসম্পন্ন ভালো ফলন পেতে হলে মাস কলাই চাষের জমিতে যতটুকু সম্ভব জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরণ অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ ও পরিবেশ উভয়ই ভালো থাকবে। বাড়িতে গবাদি পশু থাকলে সেখান থেকে গোবর সংগ্রহ করা যাবে। নিজের গবাদি পশু না থাকলে পাড়া-প্রতিবেশি যারা গবাদি পশু পালন করে তাদের কাছ থেকে গোবর সংগ্রহ করা যেতে পারে। এছাড়া ভালো ফলন পেতে হলে জমিতে আবর্জনা পচা সার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাড়ির আশে-পাশে গর্ত করে সেখানে আবর্জনা, ঝরা পাতা ইত্যাদি স্তুপ করে রেখে আবর্জনা পচা সার তৈরি করা সম্ভব।
সেচ ও নিষ্কাশন
১. মাস কলাই কিছুটা খরা সহ্য করতে পারে; তাই চাষের জন্য বেশি পানির প্রয়োজন হয় না।
২. বীজ বপনের সময় মাটিতে রসের পরিমাণ কম থাকলে অংকুরোদগম নিশ্চিত করার জন্য বীজ বপনের আগে একটা হালকা সেচ দিতে হবে।
৩. বেশি বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি জমলে তা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. অতিরিক্ত খরা ও জলাবদ্ধতা উভয়ই মাস কলাইয়ের জন্য ক্ষতিকর।
রোগ বালাই
১. হলুদ মোজাইক মাস কলাইয়ের সবচেয়ে মারাত্মক ভাইরাসজনিত রোগ। আক্রান্ত পাতার উপর হলুদ ও গাঢ় সবুজ মিশ্র মোজাইকের মত দাগ পড়ে। দূর থেকে আক্রান্ত মাঠ হলদে মনে হয়। সাধারণত কচি পাতা প্রথমে আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত বীজ ও বাতাসের মাধ্যমে এর রোগ বিস্তার লাভ করে। সাদা মাছি (হোয়াইট ফ্লাই) নামক পোকা এ রোগের বাহক হিসেবে কাজ করে। বিকল্প পোষক ও সাদা মাছি বেশি হলে এ রোগ দ্রুত ছড়ায়।
২. সারকোস্পোরা ক্রয়েন্টা নামক ছত্রাকের আক্রমণে পাতার উপর ছোট ছোট লালচে বাদামি গোলাকৃতি থেকে ডিম্বাকৃতির দাগ পড়ে। আক্রান্ত অংশের কোষসমূহ শুকিয়ে যায় এবং পাতার উপর ছিদ্র হয়ে যায়। পরিত্যক্ত ফসলের অংশ, বাতাস ও বৃষ্টির ঝাপটার মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার লাভ করে। শতকরা ৮০ ভাগের বেশি আর্দ্রতা ও ২৮০ সে. এর বেশি তাপমাত্রা এ রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করে।
৩. পাউডারী মিলভিউ হচ্ছে মাস কলাইয়ের আরেকটি প্রধান রোগ। এ রোগে প্রথমে পাতার উপরে ছোট ছোট সাদা হালকা পাউডারী দাগ পড়ে। ধীরে ধীরে এর দাগ থেকে আরো অসংখ্য এরকম পাউডারী দাগের সৃষ্টি হয় এবং পাতার উপরের পুরো অংশ আক্রান্ত হয়ে যায়। পরে পাতা থেকে কান্ড, ফুল ও ফল প্রভৃতি অংশেও রোগ ছড়িয়ে যায়। পাতার উপরের সাদা পাউডার ধীরে ধীরে ছাই রঙ হয়ে যায় এবং সবশেষে তা গাঢ় বাদামী বা কালো রঙের পাউডারে পরিণত হয়। পাতার সবুজ রঙ পরিবর্তিত হয়ে ছাই রঙে পরিণত হয়।
ছত্রাকের আক্রমণে পাতার উপর পানি ভেজা দাগের সৃষ্টি হয়। উষ্ণ ও মেঘলা আবহাওয়ায় দাগের আকার বৃদ্ধি পেয়ে পাতার প্রায় সম্পূর্ণ অংশে ছড়িয়ে পরে। রৌদ্রোজ্জল দিনে আক্রান্ত পাতাগুলো শুকিয়ে বাদামী রঙ হয়ে যায়। শুকনা আক্রান্ত অংশে ছত্রাকের সাদা মাইসিলিয়াম দেখা যায় এবং পরে বিভিন্ন আকারের স্কেলারোশিয়াম তৈরি হয়। স্কেলারোশিয়ামগুলো প্রথমে সাদা রঙয়ের হয়ে থাকে এবং সম্পূর্ণ পরিপক্ক হলে তুলার বীজের মতো গাঢ় বাদামী বা কালো রঙ ধারণ করে।
প্রতিকারঃ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে পোকা দমন না হলে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা অথবা উপজেলা কৃষি অফিসে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে।
চাষের সময় পরিচর্যা
১. বীজ বপনের ২০ দিনের মধ্যে একবার আগাছা দমন করতে হবে।
২. ফসল বৃদ্ধির প্রাথমিক অবস্থায় আগাছা দমন করতে হবে।
৩. জমিতে মাটির ঢেলা ভেঙ্গে দিতে হবে।
ফসল সংগ্রহ
খরিপ-১ মৌসুমে বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি (মে মাসের শেষ) এবং খরিপ-২ মৌসুমে কার্তিক মাসের মাঝামাঝি (অক্টোবর মাসের শেষ) মাসে ফসল সংগ্রহ করতে হবে। প্রতি বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমি থেকে প্রায় ৩-৪ মণ মাস কলাই উৎপাদন করা সম্ভব
এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে মাস কলাই চাষের জন্য ৫০০-১০০০ টাকার প্রয়োজন হবে। মূলধন সংগ্রহের জন্য ঋণের প্রয়োজন হলে নিকট সরকারি ও বেসরকারি ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও)- এর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। সরকারি ও বেসরকারি ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) শর্ত সাপেক্ষে ঋণ দিয়ে থাকে। |
মাস কলাই চাষের আগে অভিজ্ঞ কারও কাছ থেকে এ চাষের বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। এছাড়া চাষ সংক্রান্ত কোন তথ্য জানতে হলে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা অথবা উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্ধারিত ফি-এর বিনিময়ে কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের ডাল ফসলের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাস কলাই। এটি একটি অমিষ জাতীয় খাদ্য ফসল। মাস কলাই চাষ করে আমিষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। মাস কলাই চাষ করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি অতিরিক্ত উৎপাদন বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করা সম্ভব।
প্রশ্ন ১ : কোন সময়ে মাস কলাই-এর বীজ বপন করা যায় ?
উত্তর : এলাকাভেদে বপন সময়ের তারতম্য দেখা যায়। খরিপ-১ মৌসুমে মধ্য ফাল্গুন থেকে ৩০ ফাল্গুন (ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মধ্য মার্চ) ও খরিপ-২ মৌসুমে ১লা ভাদ্র থেকে ১৫ ভাদ্র (আগস্টের ১৫-৩১) এসময়ে বীজ বপন করা যায়। দেশের মধ্যাঞ্চলে আশ্বিণ মাসের শেষ পর্যন্ত সময়ে বীজ বোনা যায়।
প্রশ্ন ২ : কি ধরণের মাটিতে মাস কলাই ভালো জন্মে ?
উত্তর : সব ধরণের মাটিতে মাস কলাই চাষ করা যেতে পারে। তবে সুনিষ্কাশিত দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি মাসকলাই উৎপাদনের জন্য বেশি উপযোগী।
প্রশ্ন ৩ : কোন মাসে মাস কলাই এর ফসল সংগ্রহ করা যায় ?
উত্তর : খরিপ-১ মৌসুমে বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি (মে মাসের শেষ) এবং খরিপ-২ মৌসুমে কার্তিক মাসের মাঝামাঝি (অক্টোবর মাসের শেষ) মাসে ফসল সংগ্রহ করতে হবে।
সুত্রঃ বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট