কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ফসল উৎপাদনে সুষম সার ব্যবহার করলে ধান চাষে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ফলন বাড়ে৷ আর অন্য ফসলের ক্ষেত্রে ফলন বাড়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ৷ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান মাটিত সুষম সার ব্যবহার না করলে কৃষকের যেমন খরচ বাড়লো, তেমনই তিনি পেলেন কম ফসল এবং ফসলের মানও সঠিকভাবে রক্ষা করতে পারলেন না৷ নাজমুল হাসানের মতে, বর্তমানে বাংলাদেশে দেড় কোটি কৃষক পরিবার রয়েছে৷ তাঁদের কাছে পৌঁছানো যে সহজ কাজ না সেটাও বিবেচনায় রাখতে হবে৷ তবে এখন আইটির ব্যবহার বাড়ছে, আমরা আশা করছি খুব কম সময়ের মধ্যেই আমরা কৃষকদের কাছে পৌঁছে যাব৷ নাজমুল হাসান বলেন আগে মূলত ইউরিয়া ব্যবহার করা হতো৷ এছাড়া নাইট্রোজেনের সারের ব্যবহারও বেশি ছিল৷ কিন্তু ইদানীং সারের ব্যবহারটা অনেক ব্যালান্স হয়ে আসছে৷ সরকার ফসফরাস ও পটাসিয়াম সারের উপর ভর্তুকি দেয়ার কারণে আগে যেখানে শুধু ইউরিয়া ব্যবহার হতো, এখন সেখানে অনেকটা ব্যালান্স সার ব্যবহৃত হচ্ছে৷ এটা একটা খুব ভালো দিক৷
সুষম সারঃ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ফলন বাড়ে
আমরা যদি সুষম সার ব্যবহার করি, তাহলে ইউরিয়া বা নাইট্রোজেন সারের দরকার নেই৷ তারপরও এগুলো ব্যবহার হয়৷ কৃষকরা মনে করেন, ইউরিয়া দিলে গাছটা সবুজ হয়ে আসে, তাঁর মন ভরে যায়৷ তাঁরা মনে করেম, এটাই মনে হয় ভালো৷ এতে করে তাঁর উৎপাদন খরচটা বেড়ে যায়৷ সুষম সার না দেয়ার কারণে তাঁর উৎপাদন যতটা হওয়ার কথা ছিল, ততটা হয় না৷ আমরা যদি সুষম সার বা ব্যালেন্স সার ব্যবহার করি তাহলে ধান ফসলে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ফলন বাড়তে পারে৷ ধানের বাইরে অন্য ফসলের ফলন বাড়া ১৫ থেকে ২০ শতাংশ৷ সুষম সার ব্যবহার না করলে কৃষকের যেমন খরচ বাড়লো, তেমনই তিনি কম ফসল পেলেন এবং ফসলের মানও সঠিকভাবে রক্ষা করতে পারলেন না৷ অন্যদিকে বেশি সার ব্যবহার করলে, যেটুকু দরকার সেটার পর অন্য অংশটুকু নীচের দিকে চলে যায়৷ বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে পাশ্ববর্তী খালে চলে যায়৷ এতে করে নদীতে বা খালে আগাছার পরিমাণ বেড়ে যায়৷ এক-একটা মাটির চাহিদা আলাদা৷ মাটির চাহিদা অনুযায়ী যে সার যতটা দরকার, ঠিক ততটাই ব্যবহার করতে হবে৷