কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : রেনু আহরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সমুদ্র উপকূল থেকে রেনু পোনা সংগ্রহের পর তা বিক্রি করছেন পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকার হাজার হাজার জেলে । এতে চিংড়িসহ অন্যান্য প্রায় ৪৭৫ প্রজাতির বিভিন্ন মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত । জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়েই তারা এ কাজ করছেন বলে জেলেরা জানিয়েছেন । তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তারা রেনু আহরণ বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি জেলেদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছেন । সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা ছাড়াও পটুয়াখালীর মহিপুর, আলীপুর, মৌডুবী, গলাচিপা ও আগুনমুখাসহ উপকূলীয় প্রায় ২০টি নদীর তীর থেকে রেণু পোনা আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন জেলেরা। মশারী ও বেহুন্দা জাতীয় জাল দিয়ে চিংড়ির পোনা আহরণ করতে গিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য রেণু নষ্ট করছেন তারা। যে কারণে উপকূলীয় এলাকায় রেণু পোনা আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
উপকূলের এসব এলাকায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে রেণু পোনা ধরছেন বলে জানিয়েছেন জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রেণু আহরণ করায় সাগরের অনেক প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. মো. সুলতান আহমেদ। তিনি বলেন, সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ থাকে। রেণু পোনা আহরণের কারণে অন্য প্রজাতিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে উপকূলে রেণু আহরণ বন্ধ করতে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানালেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, মৎস্য বিভাগ নানা সময় অভিযান পরিচালনা করে থাকে। তারপরও কিছু অসাধু জেলেরা এ কাজ করছে। আরো অভিযান জোরদারের কথাও জানান তিনি। দেশের সমুদ্র উপকূলগুলোতে প্রায় ৩৬ প্রজাতির চিংড়ি পাওয়া যায়। তবে উপকূলীয় জেলেরা শুধু গলদা ও বাগদা চিংড়ি আহরণ করলেও ধ্বংস করছেন বাকি ৩৪ প্রজাতির চিংড়িসহ অন্যান্য প্রায় ৪৭৫ প্রজাতির বিভিন্ন মৎস্য সম্পদ।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/এম ইসলাম