কৃষিঋণের সুদের ঊর্ধ্বসীমা ১০ শতাংশ নির্ধারণ
কৃষি প্রতিক্ষণ রিপোর্টঃ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। গত অর্থবছরের তুলনায় যা ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা বেশি। আজ রোববার ২০১৬-১৭ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লিঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতিমালায় আরও বলা হয়, ব্যাংকগুলোর জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বাইরে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড ২০ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ৭০৭ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে কৃষি ও পল্লিঋণ বিতরণ করবে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৬টি বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ২টি ব্যাংক, ৩৮টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ৯টি বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক মোট ১৭ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লিঋণ বিতরণ করে।
চলতি অর্থবছরে ঋণ বিতরণে অগ্রাধিকার পাবে শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এই তিনটি খাত। নীতিমালায় বলা হয় শস্য ও ফসল চাষের জন্য ঋণের আবেদন দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি করতে হবে, এ ক্ষেত্রে ঋণের আবেদন নিশ্চিতকরণের সময়সীমা হবে সর্বোচ্চ ১০ কার্যদিবস। এ ছাড়া ঋণ বিতরণে স্বচ্ছতা আনতে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রকাশ্যে কৃষিঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে নীতিমালায়। কৃষিকাজে সরাসরি নিয়োজিত প্রকৃত কৃষকেরা কৃষিঋণ প্রাপ্তির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। ফসল উৎপাদনের জন্য একজন কৃষক সর্বোচ্চ ১৫ বিঘা জমি চাষাবাদের জন্য নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত হারে ঋণ পাবেন। নতুন নীতিমালায় কৃষিঋণের সুদের ঊর্ধ্বসীমা ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃপ্র/ কে আহমেদ / এম ইসলাম