কৃষি প্রতিক্ষন রংপুর : বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরপরই রংপুর ও ঠাকুরগাঁ অঞ্চলের বিস্তীর্ণ জমি-জুড়ে আমনের চারা রোপণে ব্যস্ত এখন কৃষকেরা। ভোর থেকে শুরু করে বিকাল পর্যন্ত নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে চারা রোপণে ব্যস্ত তারা। কৃষকেরা বলছেন, অন্যান্য বছর এ সময় পাম্পের পানি তুলে জমি তৈরি করার কারণে খরচ বেশি হতো। কিন্তু এবার পর্যাপ্ত বৃষ্টির পানি পাওয়ায় উৎপাদন খরচ কমবে। কৃষি বিভাগও বলছে, বৃষ্টি এবার আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে আমনের জন্য। মাঠে মাঠে এখন আমনের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন রংপুর অঞ্চলের কৃষকেরা। এবার বর্ষার শুরু থেকেই নিয়মিত বৃষ্টি হওয়ায় মাঠ কৃষকের অনুকূলে। এ কারণেই থেমে নেই কৃষক, ব্যস্ত জমি তৈরি আর চারা রোপণে।
কৃষকেরা জানান, গত বছর এ সময় বৃষ্টির পানি না থাকায় সেচের পেছনে তাদের প্রতি বিঘা জমিতে ৫ থেকে ৭শ’ টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হয়েছে। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উদ্যান বিশেষজ্ঞ মো: খোন্দকার মেসবাহুল ইসলাম জানান, এবার স্বাভাবিক বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা আমন আবাদে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। চলতি মৌসুমে রংপুর কৃষি অঞ্চলের ৫ জেলায় ৫ লাখ ২১ হাজার ৫৭৪ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বীজ সরবরাহের কোনরুপ ঘটতি ছিল না । ফলে কৃষকরা সময়মত বীজতলা তৈরী করতে পেরেছিল । এখন তারা বীজ রোপনে ব্যস্ত । ঠাকুরগাঁওয়ে আমন আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন আমন চাষিরা। সরকারের কাছে তাদের দাবি, ধান বাজারে ওঠার আগেই যেন ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করা হয়। কৃষকরা জানান, এ বছর সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায় বাড়তি খরচ ছাড়া আমন চারা রোপণ করতে পেরেছেন তারা। বৃষ্টির কারণে উঁচু-নিচু সব জমিতেই এবার আবাদ হচ্ছে ধান। তবে ধানের ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর জেলায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে
কৃপ্র/রাজিব/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম