কৃষি প্রতিক্ষন কুড়িগ্রাম : ভয়াবহ বন্যার কারণে কুড়িগ্রামে গবাদি পশু-পাখি পালনে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বন্যায় পানিবন্দি হয় কয়েক লাখ পশুপাখি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় গরু এবং হাঁস মুরগির খামার। প্রকট আকার ধারণ করেছে পশুপাখির খাদ্য সংকট। আর বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে গবাদি পশুপাখির নানা রোগ।
এবার উপর্যুপরি তিন দফা বন্যার শিকার কুড়িগ্রাম জেলা। এরমধ্যে তৃতীয় দফায় বন্যা ছিল ভয়াবহ। প্রায় তিন সপ্তাহ স্থায়ী এ বন্যায় জেলার প্রায় অর্ধেক এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সোয়া ৬ লাখ মানুষের পাশাপাশি আড়াই লাখের মতো গবাদি পশু পানিবন্দি হয়েছে।
পানি ঢোকায় অর্ধশতাধিক গরু এবং হাঁস মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে চারণ ভূমির ঘাস, আবাদকৃত ঘাসের ক্ষেত এবং খড়ের গাদা। বন্যার ঢল কমে হলেও চারণ ভূমিগুলো থেকে পানি সরেনি এখনো। এতে পশু খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এর সাথে নতুন বিপদ হিসাবে গরুর খুরা, পাতলা পায়খানা ও গলাফোলা, হাঁস মুরগির রানীক্ষেত এবং ছাগলের পিপিআর রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
অবশ্য নাগেশ্বরী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদেরের দাবি, গবাদি পশু-পাখির রোগ প্রতিরোধে মাঠ পর্যায়ে কাজ চলছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
আর ক্ষতিগ্রস্ত গবাদি পশুপাখি পালনকারী খামারি এবং কৃষকদের বিভিন্নভাবে সরকারি সহায়তা দেয়ার জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা দীপক রঞ্জন রায়।তিনি বলেন, কৃষকদের সহায়তার জন্য দুই কোটি ৮০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে কৃষকদের মাঝে গবাদি পশুর খাবারসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হবে।
জেলায় ৫০টি গরুর ও ১৬টি হাঁস মুরগির খামার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া মারা গেছে সাড়ে ৬ শতাধিক গবাদি পশুপাখি। আর নষ্ট হয়েছে প্রায় দেড় হাজার একর চারণ ভূমির ঘাস।
কৃপ্র/রাজিব/ কে আহমেদ/এম ইসলাম