কৃষি প্রতিক্ষন যশোর : দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে তিনদিনের টানা বর্ষণে যশোরের নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। অপরদিকে উত্তরবঙ্গের বন্যার পানি ভারতের নদী বেয়ে যশোর সীমান্তে ইছামতিসহ বেশ কয়েকটি ছোট ছোট নদী দিয়ে প্রবেশ করায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যশোরের শার্শা উপজেলার অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। অপরিকল্পিত বেড়িবাঁধ নির্মাণ, নদী ও খালে পাটাবাঁধের কারণে আমন ধান ও সবজিক্ষেতসহ বেড়িবাঁধের মাছ ভেসে গেছে। ক্ষতি হয়েছে লাখ লাখ টাকার। ফলে এ এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
শার্শা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার বলেন, গত দুদিনের অতি বর্ষণের ফলে ভারতের পানিতে শার্শায় ১ হাজার ৫শ’ হেক্টর আমন ফসলের জমি নষ্ট হয়েছে। প্রায় ৩শ’ হেক্টর আমন ফসল আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে। এভাবে ভারত থেকে পানি আসতে থাকলে আমন ফসলের ক্ষতি আরও বাড়তে পারে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, গত ৩ দিনের বর্ষণে ভারতীয় পানির চাপের ফলে বেনাপোল পোর্ট থানার সাদীপুর পাচুয়ার বাওড়সহ কয়েকটি ঘের ভেসে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ইছামতির পানি বাড়ছে। বেনাপোলের পুটখালীর বারোপোতা বাজার খাল দিয়ে বল্লির বিল ও চাত্রেরবিল টানা বর্ষণের ফলে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে মাখলার বিলে পড়ছে। বাহাদুরপুর ও সর্বাংহুদার বিপরীতে দামুদর নদীর পানি উপচে পড়ে সুটিয়া সীমান্ত হয়ে কুদলার খাল হয়ে সর্বাংহুদার সেতু দিয়ে প্রবেশ করে ধর্মদহ দিয়ে বাহাদুরপুর বাওড়ে প্রবেশ করে সোনামুখি বিলের ফসলি জমি নিমজ্জিত হচ্ছে। আমড়াখালী খাল দিয়ে কন্যাদহ বাওড়ের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মাখলার বিলের আমন ধান এখন পানির নিচে।
উপজেলার ডিহি ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন আলী জানান, ডিহি ইউনিয়নের বিপরীতে ভারতের বয়রা, বাজিতপুর হয়ে ডিহির শালকোনা মাঠ ও শিকারপুর; ভারতের মেহরানী ও কুরুলিয়া হয়ে ডিহির টেংরালীর পশ্চিম মাঠ নিমজ্জিত হয়ে কাশিপুর ও শাড়াতলা সেতুর নিচ দিয়ে কপোতাক্ষ নদ ও বনবান্দার বিলে এসে পড়ছে।
শার্শার প্রতিটি ছোট বড় বিলে বেড়িবাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় বাংলাদেশ ও ভারতের অতি বর্ষণের ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আমন ফসল ও মাছের ঘেরসহ শাক-সবজির ক্ষেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।
কৃপ্র/ কাজল/ কে আহমেদ/এম ইসলাম