কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ঘর-বাড়ি, বসতভিটা হারিয়ে শত শত পরিবার মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। বন্যার পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথেই তিস্তা নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। নদীর এই তীব্র স্রোতে এ পর্যন্ত সাতশ পরিবার ঘর-বাড়ি, বসতভিটা হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। খবর ইত্তেফাক অনলাইন।
এ ছাড়া নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে হাজার-হাজার হেক্টর আবাদি জমি, গাছপালা, পানের বরজ ও বাঁশঝাড়। ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো হচ্ছে- তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, কঞ্চিবাড়ি, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের চর খোর্দ্দা, লাটশালা, চর তারাপুর, বেলকা, বেলকা নবাবগঞ্জ, মধ্য বেলকা, কানি চরিতাবাড়ি, চরিতাবাড়ি, মাদারীপাড়া, পাড়াসাদুয়া, হাজারির হাট, কাশিমবাজার, রাঘব, হরিপুর ঘাট, বোচাগাড়ি, উজান বোচাগাড়ি, কালিরখামার, ছয়ঘড়িয়া, বাবুর বাজার, উজান বুড়াইল, ভাটি বুড়াইল, পূর্ব লাল চামার, বাদামের চর, কাজিয়ার চর ও কাপাসিয়া। নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোকে এক হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে।
কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঞ্জু মিয়া জানান, বর্তমানে ভাটি বুড়াইল, পূর্ব লালচামার ও উজান বুড়াইলে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো জানান, তার ইউনিয়নে এ পর্যন্ত ৫১১টি পরিবার বিলীন হয়েছে। এর মধ্যে ৪৯৬টি পরিবারের তালিকা উপজেলা অফিসে জমা দেয়া হয়েছে।
হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলাম জানান, চর মাদারীপাড়া, হাজারীর হাট এলাকায় নদী ভাঙনে ১৫০ পরিবার বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া চন্ডিপুর, বেলকা ও তারাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙনে ৫০ পবিবার বিলীন হয়েছে। নদী ভাঙনে ১০ কোটি টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত হাবিবুল আলম জানান, নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোকে পর্যায়ক্রমে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।