কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক : কোরবানিকে সামনে রেখে হাটে গবাদি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় থাকছে বিশেষ নজরদারি। বিভিন্ন পয়েন্টে এক হাজার টিম কাজ করবে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। তবে বছর জুড়ে খামারগুলোতে নজরদারি না করা হলে রাসায়নিক ব্যবহার করে পশু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া রোধ করা যাবে না। দূর করা যাবে না মানবদেহের স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা। এমনটাই মত পরিবেশবিদদের।
দেশে উৎপাদিত বেশিরভাগ গবাদিপশুই বিক্রি হয়ে থাকে ঈদুল আজহায়। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে ছোট বড় অনেক খামার। তবে কিছু অসাধু কৃষক ও ব্যবসায়ী ভারতীয় নিষিদ্ধ ওষুধ প্রয়োগ করে গরু মোটাতাজা করে থাকে। এই ওষুধ প্রয়োগের ফলে পশুর কিডনি, ফুসফুস ও লিভার যেমন নষ্ট হয় তেমনি এইসব পশুর মাংস খেলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে মানুষ।
ক্ষতিকর ওষুধ প্রয়োগ করা এমন পশু শনাক্তে এ বছর পশুর হাটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এক হাজার টিম কাজ করবে বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তবে সরকারি জনবল কম থাকায় সার্বিক তদারকিতে সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত পরামর্শ পরিবেশবিদদের। গবাদিপশু পালনে অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি খামারিদের উন্নত প্রশিক্ষণের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম