কৃষি প্রতিক্ষণ রিপোর্ট : রাজধানীর হাটগুলোতে কোরবানির পশুর যথেষ্ট যোগান থাকলেও জমে ওঠেনি বেচাকেনা। তবে আপাতত বিক্রিতে ভাল দাম পাওয়া ও তুলনামূলক কম দামে কেনার প্রবণতায় দরকষাকষি চলছে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে। দু’একদিনের মধ্যেই বেচা-বিক্রি জমজমাট হবে এমন প্রত্যাশা বিক্রেতা ও হাট কর্তৃপক্ষের। রাজধানীতে গাবতলির স্থায়ী হাটে অনেকেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ‘বাংলার বাহাদুর’। বিশ লাখ টাকা দাম হাঁকালেও ক্রেতা মেলেনি এখনও। রাজধানীর অন্যান্য হাটেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসতে শুরু করেছে ছোট-বড় কোরবানির পশু।
হাটে দাম নিয়ে ক্রেতাদের অনেকেই সন্তুষ্ট থাকলেও কেউ কেউ বলছেন, দাম গতবছরের চেয়ে কিছুটা বেশি। আর বিক্রেতাদের দাবি পশু কিনতে গত বছরের চেয়ে এবার খরচ বেশি পড়েছে। আফতাব নগরের এই অস্থায়ী পশুর হাটে পাবনার আতাইকুল গ্রাম থেকে এসেছেন গরু বিক্রি করতে। গত বারও তিনি এসেছিলেন এই হাটে কিন্ত হতাশ হয়ে ফিরতে হয় তাকে । ২০টি গরুর মধ্যে ১০টি গরু বিক্রি করতে হয় সস্তা দামে। তাই এবার ১০টি গরু নিয়ে এসেছেন হাটে। অন্য বেপারির গল্প আবার ভিন্ন গতবার যে কয়টি গরু এনেছিলেন সব কয়টি বিক্রি হয়েছিল তার এবারও তাই ১৬টি গরু নিয়ে এসেছেন হাটে। সারাদিন হাট ঘুরে দু একটা ক্রেতা মিললেন আশানুরুপ দাম বলছেন না ক্রেতারা। পুলিশ বলছে, বেপারি ও ক্রেতাদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। নির্দিষ্ট হাটের জন্য আনা পশু যাতে অন্য হাটে না নামানো হয়, সে ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন ব্যবসায়ী ও ইজারাদাররা।
কৃপ্র/কে আহমেদ/এম ইসলাম