কৃষি প্রতিক্ষণ রিপোর্ট : দেশে লবনের কোন সংকট নেই । তাই অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। এর জবাবে লবণ মিল মালিকরা বলছেন, এরই মধ্যে লবণের সংকট হয়েছে। লবণ উৎপাদন ও চাহিদার সরকারি হিসেবের মধ্যে গরমিল আছে দাবি করে তারা বলছেন, আমদানির অপেক্ষায় থাকা দেড় লাখ মেট্রিক টন লবণ ঈদের আগে কোন ভাবেই দেশে পৌঁছবে না। এমন অবস্থায় চামড়ায় ব্যবহার্য লবণের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চামড়া শিল্প মালিকরা।
ব্যবসায়ীদের ভাষায়, চামড়ার প্রাণ লবণ। কেননা, পশুর চামড়া ছাড়ানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে লবণ না দিলে তাতে হয় ব্যকটেরিয়ার আক্রমণে পচন ধরে, চামড়া হারায় অর্থনৈতিক মূল্য। কোরবানির সময় চাহিদা বেশি থাকায়, লবণের দাম বাড়িয়ে দেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এরই মধ্যে চামড়ায় ব্যবহৃত লবণের দাম বস্তা প্রতি হয়ে দাঁড়িয়েছে ১২শ’ টাকায়।
বিসিকের চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী বলছেন, উৎপাদনের তুলনায় দেড় লাখ টন লবণের ঘাটতি পূরণে এরই মধ্যে আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। তাই ঈদে ঘাটতি বা সংকটের কোন সুযোগ নেই। তবে এর সাথে একমত নন লবণ ব্যবসায়ীরা। লবণ ব্যবসায়ীদের দাবি, আমদানির জন্য ৪ সেপ্টেম্বর ছিল এলসি খোলার শেষ দিন। তাই আমদানির অপেক্ষায় থাকা লবণ ঈদের আগে কোন ভাবেই দেশে পৌছবে না। বিসিক বলছে, আমদানি নির্ভর করছে ব্যবসায়ীদের ওপরই। তবে ব্যবসায়ীরা চান অযৌক্তিকভাবে যেন লবণের দাম না বাড়ানো হয় সে ব্যাপারে সরকার ব্যবস্থা নেবেন। আমদানির সময় বিদেশী মানহীন লবণ যেন দেশে না ঢোকে সে ব্যাপারেও বাড়াতে হবে নজরদারি।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম