কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ অযত্নে অবহেলায় বেড়ে ওঠা ফুল বন জুঁই। এটি একটি বুনো ফুলও বটে। তবে প্রকৃতি পরিবেশের সৌন্দর্য বিকাশে এর ভূমিকা কম নয়। ক্ষুদ্রাকৃতির ঝোপালো ফুলগাছ। গ্রামীণ পরিবেশে এ ফুল গাছটি আবার ভাঁটগাছ হিসেবে পরিচিত। ইংরেজী নাম :Verbenaceae বৈজ্ঞানিক নাম :Cleroden-druminerme। গাছের গড় উচ্চতা ৩ থেকে ৫ ফুট হয়ে থাকে।
গাছ অত্যন্ত কষ্ট সহিষ্ণু, পরিবেশ প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজেদের বংশ টিকিয়ে রাখতে সক্ষম। গাছের পাতা গাঢ় সবুজ, কিনারায় হালকা খাঁজকাটা থাকে। শিরা-উপশিরা স্পষ্ট, আকারে ত্রিকোণাকৃতির। পাতা কচলালে তা থেকে উগ্র গন্ধ বের হয়। ফুল ফোটার মৌসুম বসন্তকাল এবং বসন্তের শুরুতে এর ফুল ফোটে। যার ব্যাপ্তি পুরো বসন্তকাল পর্যন্ত। ফুলে সুমিষ্ট ঘ্রাণ রয়েছে।
এ ফুলের ঘ্রাণ গাঁয়ের মেঠো পথে হেঁটে যাওয়া পথিকের মনকে আকুল করে। গাছের শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে থোকা-থোকা ফুল ফোটে। ফুলের রং সাদা-বেগুনি মিশ্র রঙের, ফুলের মাঝখানে পরাগ অবস্থিত এবং লম্বা আকৃতির পুংদ- অবস্থিত। পাপড়ি পাঁচটি। বীজ ও শিকড়ের মাধ্যমে এ ফুলগাছের বংশ বিস্তার ঘটে। আমাদের দেশে বনাঞ্চল, পুকুর পাড়, রাস্তা পাশে, বাঁধের দ্বার, পতিত জমিতে বন জুঁই ফুলগাছ উৎপাদন চোখে পড়ে এবং এর ফলে এসব স্থানের মাটির ক্ষয় রোধকল্পেও বিশেষ কার্যকর উদ্ভিদ বন জুঁই। ভেষজ গুণে গুণান্বিত এ ফুলগাছ ম্যালেরিয়া, চর্মরোগ ও পোকামাকড়ের কামড়ে অত্যন্ত উপকারী।
সুত্রঃ যায়যায় দিন / কৃপ্র/এম ইসলাম