কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ঢেকে গেছে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা এলাকার অধিকাংশ আমগাছগুলো। চাষিরা পোকামাকড়ের প্রাদুর্ভাবের হাত থেকে রক্ষা পেতে বালাইনাশক ব্যবহার করে আমের মুকুল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাঠাচ্ছেন। এবার বাম্পার ফলন হওয়ার আশা করছেন চাষিরা।
নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর, বাসুদেবপুর, সাধনগর, খাজুরা, বাঁশিলা, সোনাপাতিল, বুড়িরভাগ, মাধবপুর, পীরগাছা, রামশাকাজিপুর, পাটুল, বাঁশভাগ গ্রামের আমগাছগুলোয় অন্যবারের তুলনায় দ্বিগুণ মুকুল এসেছে।
সোনাপাতিল গ্রামের আমচাষি আব্দুর রহমান জানান, যদি মুকুলগুলো ঝরে না যায় আর আম বড় হওয়ার আগ পর্যন্ত বৈরী আবহওয়া না দেখা দেয়, তাহলে বাম্পার ফলনের আশা করছি। তবে এখন আমচাষিরা পোকামাকড়ের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে বালাইনাশক ব্যবহার করে আমের মুকুল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাঠাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং পোকামাকড়ের প্রাদুর্ভাব কম থাকায় এখন পর্যন্ত মুকুলে কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে মুকুলে ফুল ফোটার আগে ইমিডাক্লোত্রিড অথবা মাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক এবং ম্যানকোজের জাতীয় ছত্রাকনাশক অনুমোদিত মাত্রায় স্প্রে করছেন চাষিরা।
স্থানীয় কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমের গুটি মটরদানা আকৃতি হলে কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক এবং ম্যানকোজেরজাতীয় ছত্রাকনাশক অনুমোদিত মাত্রায় স্প্রে করতে হবে। সেই সঙ্গে আমের আকার বৃদ্ধির জন্য গানোফিক্স অথবা লিটোরেনজাতীয় গ্রোথ রেগুলেটার নিয়মানুযায়ী পানির সঙ্গে মিশিয়ে গাছে স্প্রে করতে হবে। এ সময় আমগাছের চারায় সেচ দিতে হবে। আর বেশি রোদে কীটনাশক স্প্রে না করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
সুত্রঃ যায়যায় দিন / কৃপ্র/এম ইসলাম