কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ তরমুজ আমাদের দেশের গ্রীষ্মকালীন একটি জনপ্রিয় ফল।গরমে তরমুজ দেহ ও মনে শুধু প্রশান্তিই আনে না এর পুষ্টি ও ভেষজগুণ রয়েছে অনেক। তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও অন্যান্য খাদ্য উপাদান। তরমুজ রাতকানা, কোষ্ঠ-কাঠিন্য, অন্ত্রীয় ক্ষত, রক্তচাপ, কিডনিসহ নানা ধরনের অসুখ প্রতিরোধ করে। গরমের দিনে ঘামের সাথে প্রচুর লবণ ও পানি বেরিয়ে যায়। তরমুজে প্রায় ৯৬ ভাগই জল এবং প্রচুর খনিজ লবণ থাকায় দেহে লবণ ও পানির ঘাটতি পূরণ করে।
পাকা তরমুজে শতকরা ৬% চিনি এবং ৯২% পানি এবং ২% অনন্য খনিজ ও ভিটামিন এ থাকে। উলি্লখিত কারণে হৃদরোগীদের জন্য এটি বেশ উপকারী। টাইফয়েড রোগীরা যদি আধাপাকা তরমুজের রস ২ চা চামচ প্রতিদিন খান তাহলে উপকার পাবেন। তরমুজে পটাশিয়াম আছে, যা উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। তরমুজে ক্যারোটিনয়েড আছে, যা চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে।
মাঘ-ফাল্গুন হচ্ছে তরমুজ চাষের সময়। তবে হাইব্রিড জাতের বীজ গোটা ফাল্গুন মাস ধরে লাগানো যায়। আমাদের দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় জাত হলো সুগার বেবি। চাষের পর তরমুজ সাধারণত আড়াই মাসের মাথায় ফলন দিয়ে থাকে। অন্যান্য যে জাতগুলো আছে তা হলো আসাহি, আধারি, পুষা বেদানা ইত্যাদি। হাইব্রিডজাতের মধ্যে সুগার অ্যাম্পায়ার, অমৃত, মিলন, মধু, সুগার বেলে, ক্রিমসন সুইট, মোহিনী, আমরুদ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তবে চর এলাকায় পাটনাগরা এবং মধু এফ ওয়ান হাইব্রিড জাতটির চাষ বেশি। পাটনাগরা জাতটি গোলাকৃতি সবুজ আবরণীর শাঁসালো লাল রঙের অভ্যন্তর এবং আকারে ৬ থেকে ৭ কেজি পর্যন্ত হয়।
কৃপ্র/এম ইসলাম