কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : এ বছর দেশের কোথাও মৌসুমি ফলে ক্ষতিকর কেমিক্যাল বা ফরমালিন পাওয়া যায়নি, এমনটাই দাবী করেছে আইএফএসটি বা খাদ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট। কিন্ত এমন প্রতিবেদনের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না সাধারণ জনগণ। তারা বলছেন, দুদিন পরেই পরিবর্তন হয়ে যায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের বক্তব্য। আইএফএসটি বলছে, বিভিন্ন জেলা শহরে শাখা অফিস ও ঢাকার কেন্দ্রীয় অফিসের পরীক্ষাগারে গবেষণা চালিয়ে ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক না পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন তারা। এদিকে ফলমূল থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত রাখতে খাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
খাদ্যদ্রব্যে বিষক্রিয়া শনাক্তকরণে ২০০৭ সাল থেকে কাজ করে আসছে পুষ্টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট। ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির গত আট বছরের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মৌসুমি ফল ছাড়াও সারা বছরই ফল সংরক্ষণ ও পাকানোর জন্য ফরমালিন ও অন্যান্য কেমিক্যাল ব্যবহার করা হত। এতে মারাত্মক রোধ ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে ছিল মানুষ। এই অবস্থায় সবাইকে অবাক করে দিয়েছে আইএফএসটির প্রতিবেদন। খাদ্য বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. জহিরুল হক বলেন, ‘ আম, লিচু ও তরমুজ পরীক্ষা করে আমরা কোন প্রকাশ ফরমালিনের উপস্থিতি পাইনি।’
বিগত বছরগুলোতে ফলে অতিমাত্রায় ফরমালিন ও কারবাইডসহ বিভিন্ন কেমিক্যাল মেশানোর বিষয়টি স্মরণ করে এই প্রতিবেদন নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে সংশয়।
খাদ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট বলছে প্রাকৃতিক ভাবেও পরীক্ষা করা যায় ফরমালিন বা কেমিক্যাল। শুধু প্রতিবেদনের উপর নির্ভর না করে খাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে আরো সতর্কতা অবলম্বনের তাগিদ দিলেন বিশেষজ্ঞরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ড. খুরশেদ জাহান বলেন, ‘ফল পরীক্ষা ও ভেজাল বিরোধী অভিযান যেনো অব্যাহত থাকে।’ যে কেউ চাইলে খাদ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটে ফল বা যে কোন ধরনের খাদ্যদ্রব্য পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
কৃপ্র/ এম ইসলাম