কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : মানিকগঞ্জের কৃষকরা মিষ্টি কুমড়া চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ধান চাষে লোকসান হওয়ায় কৃষকরা ভুট্টা চাষ শুরু করেন। কিন্তু ভুট্টার দামও পড়ে যাওয়ায় এবার ব্যাপক হারে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন চাষিরা। জানা গেছে, মানিকগঞ্জের ঘিওর ও সিংগাইরের কিছু এলাকায় আগে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হতো। এবার ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া এলাকার আবদুল করিম ৭০ বিঘা জমিতে গোল আলুর চাষ করেন।
সাথি ফসল হিসেবে সেখানে তিনি মিষ্টি কুমড়ার বীজ রোপণ করেন। মৌসুম শেষে দেখা গেছে চাষাবাদের খরচ মিটিয়ে আলুতে যে লাভ হয়েছে, নামমাত্র খরচে মিষ্টি কুমড়ায় তার চেয়ে অনেক বেশি লাভ হয়েছে। মিষ্টি কুমড়া চাষি আবদুল করিম বলেন, কয়েক বছর আগে আলু চাষের জমিতে কিছু মিষ্টি কুমড়ার চাষ শুরু করি। ভালো লাভ হওয়ায় গত বছর নিজের জমির সঙ্গে ইজারা নিয়ে ৪০ বিঘা জমিতে আলুর সঙ্গে মিষ্টি কুমরার চাষ করি। খরচ বাদে মিষ্টি কুমড়ায় আমার প্রায় পাঁচ লাখ টাকা আয় হয়েছে। এবার ৬০ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছি। খরার কারণে ফলন কিছুটা খারাপ হয়েছে। গতবারের মতো ফলন হলে এবার সাত লাখ টাকা আয় হতো।
করিম ছাড়াও এলাকার সাধারণ কৃষকরা কেউ দুই বিঘা কেউ তিন বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে সফল হয়েছেন। তবে কৃষকরা জানান, মিষ্টি কুমড়ায় পচন দেখে ঘিওর উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে বার বার তাগিদ দেওয়া সত্যেও তিনি দেখতে আসেননি। তিনি এসে পরামর্শ দিলে ফলন আরও ভালো হতো। দেখা গেছে, গোলআলু অনেক আগেই তোলা হয়েছে। পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে এখন সেগুলো জমি থেকে তুলে সরাসরি ট্রাকযোগে আড়তে পাঠানো হচ্ছে।
এ এলাকায় প্রতিবছর মিষ্টি কুমড়ার চাষ বেড়েই চলেছে। মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আলীমুজ্জামান মিয়া জানান, বেশি লাভ হওয়ায় কৃষকরা মিষ্টি কুমড়া চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ বছর ৭৫০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ হয়েছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম