সীমা আক্তার।।
বাংলাদেশের কৃষিতে যুক্ত হতে যাচ্ছে ‘পার্পল ভুট্টা বা বেগুনি ভুট্টা’ । এটি নীল ভুট্টা নামেও পরিচিত। এ ভুট্টার দানা গাঢ় বেগুনি রঙের হওয়ায় একে পার্পল ভুট্টা বলে।পার্পল ভুট্টা দিয়ে বেগুনি রঙের এক ধরনের জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর পানীয় তৈরি হয়। পুষ্টি সমৃদ্ধ বেগুনি ভুট্টার তৈরি খাবার শরীরের কোলেস্টেরল কমায়, স্থুলতা কমায়, ডায়াবেটিস , নিয়ন্ত্রনে রাখে, দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়, স্নায়ু-ক্ষয়জনিত রোগ দমন করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। সর্বপরি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
বেগুনি ভুট্টায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্থোসায়ানিন। উন্নত দেশের মানুষরা বেগুনি ভুট্টা হতে স্বাস্থ্যকর পানীয় ও বেগুনি ভুট্টার আটা হতে বেগুনি রঙের রম্নটি, কেক, পুডিং ইত্যাদি তৈরি করে। তাছাড়া অপরিপক্ব বেগুনি ভুট্টা চিবিয়ে বা সালাদের সঙ্গে খাওয়ার প্রচলন অনেক দেশেই রয়েছে। বেগুনি ভুট্টা হতে সংগৃহীত এন্থোসায়ানিন বিভিন্ন খাবারে রং করার জন্যও ব্যবহৃত হয়। জাপানে বেগুনি ভুট্টার রং ফুড এডিটিভের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এই রং বিভিন্ন খাবার যেমন- পানীয়, জ্যাম, জেলি, ক্যানডি, চকলেট ইত্যাদি খাবার রং হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, বেগুনি ভুট্টার এন্থোসায়ানিন অন্যান্য ফসল যেমন- আঙ্গুর, বেগুনী গাজর, চকবেরী থেকে এন্থোসায়ানিনের পেররিমাণ ৫০% ভাগ বেশি যা দেহের ক্যান্সার রোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে বেগুনি ভুট্টার এন্থোসায়ানিন ২০% ক্যান্সারের সেলকে মেরে ফেলতে পারে।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ বেগুনি ভুট্টার জাত উদ্ভাবনে গবেষণা করে আসছে। বেগুনি ভুট্টার চাষ প্রণালি অন্য ভুট্টার মতোই একই রকম। আগামী ২০১৯ সাল নাগাদ এ ভুট্টা বাংলাদেশের চাষি পর্যায়ে উন্মুক্ত হবে বলে আশা করছেন গবেষকরা।
কৃপ্র/এম ইসলাম