কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক: পান বাংলাদেশের একটি অর্থকারী ফসল। দেশে বিদেশে রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা। পানে অনেক ঔষধি গুণ বিদ্যমান। রোগ বালাই পান উৎপাদনের একটি প্রধান অন্তরায়। পানে গোড়া পচা, ঢলে পড়া, পাতা পচা, অ্যানথ্রাকনোজ, সাদা গুঁড়া ইত্যাদি রোগ দেখা যায়। এ রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ফলন অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। তাই পানের কয়েকটি মারাত্মক রোগের লক্ষণ, কারণ ও প্রতিকার ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
রোগের কারণ- স্ক্লেরোসিয়াম রফসি (নামক ছত্রাক)।রোগের বিস্তার – ছত্রাকগুলো প্রধানত মাটি বাহিত শস্যতে আক্রমণ করে, মাটিতে জৈব সার বেশি ও খড়কুটা থাকলে তাহা পানি সেচের মাধ্যমে আক্রান্ত ফসলের জমি হতে সুস্থ ফসলের মাঠে বিস্তার লাভ করে।
রোগের লক্ষণ – পান গাছের যে কোনো বয়সে এ রোগ হতে পারে।গ্রীষ্মকালে মাটির ওপর শায়িত লতায় এ রোগ হয়।প্রথম দিকে গাছের গোড়ায় আক্রমণ করে, ফলে উপরে লতার পাতা হলুদ হয়ে যায় ও ঝড়ে পড়ে। মাটি সংলগ্ন লতার ওপর সাদা সুতার মতো ছত্রাক মাইসেলিয়া দেখা যায়, ফলে মাটি সংলগ্ন ডাঁটা পচে যায় এবং গাছ ঢলে পড়ে মরে যায়।
রোগের প্রতিকার -রোগাক্রান্ত লতা-পাতা বরজ থেকে তুলে পুড়ে ফেলতে হবে। গভীর ভাবে জমি চাষ দিয়ে রোদ্রে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে। নতুন বরজ তৈরির ক্ষেত্রে সুস্থ সবল রোগমুক্ত পানের লতা সংগ্রহ করতে হবে।পানের বরজ সবসময় আগাছা মুক্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।পান চাষে ট্রাইকোডারমা কম্পোস্ট সার প্রতি গাছে ৫ গ্রাম হারে জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।লতা রোপণের পূর্বে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে প্রোভেক্স বা ব্যভিস্টিন দ্বারা লতা শোধনকরে নিতে হবে। বরজে রোগ দেখা দিলে প্রোভেক্স বা ব্যভিস্টিন প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে গাছের গোড়ায় মাটিতে স্প্রে করতে হবে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম