‘দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আলু চাষে বিপ্লব ঘটবে’
কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আলু উৎপাদনে প্রধান প্রতিবন্ধকতা তাপ ও লবণাক্ততা। এ কারণে ওই অঞ্চলে আলু চাষ বিস্তৃত হচ্ছে না। তবে এবার সেই প্রতিবন্ধকতা ঘুচছে। আসছে মাটি ও পরিবেশ সহনশীল আলু বীজ। দক্ষিণাঞ্চলে আলু চাষে সুখবরের বার্তা আসছে শিগগিরই। তাপ ও লবণাক্ত সহিষ্ণু দুটি আলুর জাত উদ্ভাবনে সফলতা পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বারি) কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। এবারই প্রথম তাপ এবং তাপ ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু এই দুই জাতের আলু উদ্ভাবনে সফলতা মিলেছে।
কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিমল চন্দ্র কুণ্ডুর নেতৃত্বে দীর্ঘ সময়ে মাঠপর্যায়ে গবেষণা চালিয়ে এ সফলতা পাওয়া গেছে। ড. বিমল জানান, দীর্ঘ প্রায় চার বছর ধরে ল্যাব ও মাঠপর্যায়ে গবেষণা চালিয়ে এ সফলতা মিলেছে। এতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আলু চাষে বিপ্লব ঘটবে। ৯ অক্টোবর চূড়ান্তভাবে জাত দুটি অনুমোদন পায়।
নতুন উদ্ভাবিত দুটি জাতের জার্মপ্লাজম নেয়া হয়েছে সিআইপি থেকে। ২০১১-১২ সালে ১০টি তাপ সহনশীল ও ১৫টি লবণাক্ত সহিষ্ণু সিআইপি জার্মপ্লাজম সংগ্রহ করা হয়। তাপ সহিষ্ণু ১০টি জার্মপ্লাজমের মধ্যে দুটির ফল ভালো পাওয়া যায়, যা সিআইপি ১২৭ এবং ১৩৯। আর লবণাক্ত সহিষ্ণু যে ১৫টি জার্মপ্লাজম নিয়ে কাজ শুরু হয় তার মধ্যও দুটি সিআইপি ১০২ ও ১৩৯-এ সফলতা মিলেছে। সিআইপি ১৩৯ উভয় গবেষণায় সফলতা পাওয়ায় তাপ ও লবণাক্ত সহিষ্ণু হিসেবে আর সিআইপি ১২৭ তাপ সহিষ্ণু হিসেবে চূড়ান্ত পর্যায়ে নির্বাচিত হয়েছে। আর সিআইপি ১০২ সেভাবে সফল হয়নি।
এই তিনটির ভালো ফল প্রমাণিত হওয়ায় কন্দাল ফসল গবেষণাকেন্দ্র মূল্যায়ন ও অবমুক্তির জন্য প্রস্তাব করে। এরপর আঞ্চলিক কারিগরি কমিটি দ্বারা মূল্যায়িত হয় এবং জাতীয় কারিগরি কমিটি সুপারিশ করে। শেষ ধাপ গত ৯ অক্টোবর, জাতীয় বীজ বোর্ডে এই দুটি জাত চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বারি) মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম।
কৃপ্র/ এম ইসলাম