কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বেল ইংরেজিতে Wood Apple কারণ এ ফলের খোসা কাঠের মত শক্ত। বাংলায় ফলটির ব্যাপক কদর দেখে ব্রিটিশরা নাম দিয়েছে Bengal quince। এর বৈজ্ঞানিক নাম: Aegle marmelos Correa (syn. Feronia pellucida Roth, Crataeva marmelos L)। বেল রুটাসি (Rutaceae) অর্থাৎ লেবু পরিবারের সদস্য। এর সংস্কৃত নাম বিল্ব। ফল সবুজ গোলাকার। গাছের উচ্চতা ২০-২৫ ফুট পর্যন্ত হয়।
বেল গাছের বাকল পুরু তুলনামূলকভাবে নরম, ধূসর বর্ণের। পাতা যৌগিক ও তিনটি করে থাকে, উপপত্র নেই। পাতার গোড়ার দিকে কাঁটা থাকে। ফাল্গুন-চৈত্র মাসে পাতা ঝরে যায় ও বৈশাখ মাসে নতুন পাতা ও ফুল আসে। এ সময় গাছে পাকা বেল থাকে। ফুল লালচে, ফল বেশ বড়,গোলাকার, ব্যাস হয় ৫-১৬ সেমি, ত্বক খুব শক্ত। ফলের কঠিন খোল কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে হয় হলুদ রঙের। ফলের শাঁসে থাকে অসংখ্য ছোট ছোট বীজ। পাকা ফলের শাঁস ও শরবত সুস্বাদু। বেল একটি পুষ্টিকর আর উপকারী ফল। কাঁচা-পাকা দুটোই সমান উপকারী।
বেলের রয়েছে নানা উপকারিতা। কাঁচা বেল ডায়রিয়া ও আমাশয় রোগে কার্যকর ওষুধ। বেলের শরবত কোষ্ঠকাঠিন্য ও ক্লান্তি দূর করে। পাইলস রোগের জন্য বেল অনেক উপকারী। বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ করে। নিয়মিত বেল খেলে কোলন ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
বেলে রয়েছে ভিটামিন এ, যা চোখের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক অঙ্গগুলোর পুষ্টি জোগায়। বেল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। বেলের শাঁস পিচ্ছিল ধরনের, যা পাকস্থলীর জন্য উপকারী। বেল থেকে পাওয়া বেটা ক্যারোটিন রঞ্জক মানবদেহের টিউমার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। যাদের থাইরয়েড সমস্যা রয়েছে, তাদের বেল খাওয়া উচিত নয়, এতে ক্ষতি হয়। চিকিৎসকরা অনেক সময় অন্তঃসত্ত্বাদেরও বেল খেতে নিষেধ করেন।
কৃপ্র/এম ইসলাম