কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী ও কাজীপুর উপজেলার যমুনা চরে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবাদের শেষ পর্যায়ে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত জমি থেকে মরিচ তুলে বাজারজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় চাষীরা। জানা গেছে, কাজীপুর উপজেলার যমুনা নদীর নাটুয়ারপাড়া চর, তেকানি, চৌহালী উপজেলার ঘোরজান, নাদোসৈদপুর, ওমরপুর, সদর উপজেলার মেছড়া ও কাওয়াখোলায় যমুনা নদীর চরে মরিচের আবাদ করা হয়।
কাজীপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোনামুখী, চালিতাডাঙ্গা, মাইজবাড়ী, কাজীপুর সদর, মাইজবাড়ী, শুভগাছা, খাসরাজবাড়ী, নাটুয়ারপাড়া, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ ও মনসুরনগর ইউনিয়নের চরে মরিচের ব্যাপক চাষ হয়েছে। এসব মরিচ কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে নাটুয়ারপাড়া চরে গড়ে উঠেছে মরিচের হাট। এ হাট থেকে মরিচ ক্রয় করে ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করছেন।
অধিকাংশ কৃষকই জমি থেকে মরিচ তুলছেন আবার কেউ মরিচের ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় চলতি মৌসুমে মরিচের ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকরা। এরই মধ্যে জেলার বাজারগুলোয় উঠতে শুরু করেছে নতুন মরিচ। কৃষকরা জানান, শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় এবার মরিচ চাষে উৎপাদন খরচও কিছুটা বেড়েছে। তার পরও বাজারে মরিচের ভালো দাম পাওয়ায় উৎপাদন খরচ বাদে ভালো লাভের আশা করছেন চাষীরা।
কাজীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রহমান জানান, চরাঞ্চলে কৃষকরা এবার মরিচ চাষে ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে ৯ হাজার ৮১৫ জন কৃষক মরিচের আবাদ করেছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে ২ হাজার ৩৯৭ টন মরিচ উৎপাদন হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আরশেদ আলী জানান, জেলায় এ বছর রবি জাতের ২ হাজার ৩২৫ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। শুকনা অবস্থায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২২৫ টন। এর মধ্যে কাজীপুর উপজেলায়ই বেশি মরিচের আবাদ হয়েছে। তিনি আরো জানান, এখানকার উৎপাদিত মরিচের গুণগত মান ভালো থাকায় দেশজুড়ে এর চাহিদা ব্যাপক।
কৃপ্র/এম ইসলাম