কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরনে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের স্বল্পতা, কোল্ড স্টোরেজের অপ্রতুলতা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে প্রতিবছর মোট উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ১২ শতাংশ এবং শাক-সবজি ও ফলমূলের ২০ শতাংশ নষ্ট হচ্ছে। এ জন্য কৃষিপণ্য রপ্তানিতে জোর দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার ইউএসএআইডির এগ্রিকালচার ভ্যালু চেইনস (এভিসি) প্রকল্পের সহযোগিতায় ঢাকা চেম্বার অব কমাসর্ অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘গুড এগ্রিকালচারাল প্রাক্টিস (গ্যাপ)’ বিষয়ক সেমিনার ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবদুর রউফ প্রধান অতিথি এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আজহার আলী বিশেষ অতিথি ছিলেন।
সেমিনারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কাজী মো. সাইফুল ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই পরিচালক ইমরান আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। কৃষিখাতের মাধ্যমে প্রায় ২৪ দশমিক ৫০ মিলিয়ন লোকের কমর্সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জানান, ২০১৬-১৭ অথর্বছরে বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক পণ্যের রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৫৩ মিলিয়ন মাকির্ন ডলার, যা মোট রপ্তানির মাত্র ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
ডিসিসিআই পরিচালক বলেন, কৃষিপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, শাক-সবজির সংরক্ষণ ও ফলমূল পাকানোর ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক ফরমালিনসহ নানাবিধ কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে, যা কি না স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর। পাশাপাশি এর ফলে বিশ্ববাজারে আমাদের কৃষিপণ্য রপ্তানির অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। তিনি আরও বলেন, কৃষিপণ্য আহরণে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের স্বল্পতা, কোল্ড স্টোরেজের অপ্রতুলতা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে প্রতিবছর মোট উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ১২ শতাংশ এবং শাক-সবজি ও ফলমূলের ২০ শতাংশ নষ্ট হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আজহার আলী বলেন, বাংলাদেশে কৃষিখাতের উন্নয়নে গ্যাপের ব্যবহার সম্প্রসারণে অপযার্প্ত ধারণা ও প্রশিক্ষকের অভাব রয়েছে। তা নিরসেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আব্দুর রউফ বলেন, বাংলাদেশের কৃষিখাতে গ্যাপের বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। খুব শিগগিরই কৃষিনীতি ২০১৮ ঘোষণা করা হবে, যেখানে গ্যাপ অন্তভুর্ক্ত আছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম