কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : বান্দরবান পাহাড়ে উৎপাদিত রাংগুয়াই ও আম্রপালি আম যাচ্ছে সরাদেশে। রাসায়নিকমুক্ত এসব চট্টগ্রামের পাইকারী ব্যবসায়ীরা বাগান থেকেই সংগ্রহ করে সারা দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে । পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার রাংগুয়াই ও আম্রপালি জাতের আমের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমচাষীরা। খবর বাসসের ।
জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে সেংগুম পাড়া, ১৩ কিলোমিটার দুরে পোড়াম্রোপাড়া এবং ২৬ কিমি দুরে চিম্বক ম্রো পাড়া এলাকা ঘুরে জানা গেছে, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মারমা, ম্রো এবং বমরা তাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বাগানে উৎপাদিত আম পাইকারী দামে বিক্রি করছেন। প্রতিদিনই এসব এলাকা থেকে ১০/১২ ট্রাক ভর্তি কাঁচা ও আধাপাকা আম সরবরাহ করা হচ্ছে । পাইকারী ক্রেতাদের অনেকেই আগাম অর্থও দিয়েছেন আম চাষীদের কাছে। মিয়ানমার জাতের রাংগুয়াই আম এবং দেশীয় রসালো আম আম্রপালির ফলন এবার বেশি হয়েছে। দামও পাওয়া যাচ্ছে ভাল।
রুমা উপজেলার সেংগুম মারমা পাড়ার বাসিন্দারা জানান, তাদের গ্রামে ৭০টি মারমা পরিবারের বসবাস। তাদের বেশিরভাগ পরিবার পাহাড়ে আমসহ কৃষি পণ্যের আবাদের ওপর নির্ভরশীল। এবারে তাদের বাগানে স্থানীয় জাতের পাশাপাশি মুল্যবান জাতের আম্রপালি আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। তারা নিজ গ্রাম থেকেই পাইকারী ক্রেতাদের কাছে ভাল দামে আম বিক্রি করছেন। তাদের গ্রাম থেকে প্রতিবছরই এ সময় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মণ আম বিক্রি করতে সক্ষম। প্রতিমণ কাঁচা আম্রপালি আম ৮শ’ টাকায় পাইকারী দামে বিক্রি করছেন চাষীরা। তবে বৃষ্টিপাত কম হলে ভাল দাম পান তারা।
চিম্বুক এলাকার আমচাষী কিরু ম্রো এবং চামেলী ম্রো জানান, তারা বাগান থেকে রাংগুয়াই আম বিক্রি করছেন প্রতি মণ ৭৫০ থেকে ৮শ’ টাকায়। তারা এবার আমের ভাল দাম পাচ্ছেন বলেও জানান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় আমের ফলন হয়েছে প্রায় ৬২ হাজার ৪শ’ মেট্রিক টন। বিভিন্ন জাতের আমের আবাদ হয় প্রায় ৪ হাজার ৬শ’ হেক্টর জমিতে। পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া ভাল থাকায় মৌসুমী ফল আমের বাম্পার ফলন হয়ে থাকে। প্রতিবছরই জেলায় আমের চাষ ও ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও তিনি জানান।