কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ টাঙ্গাইল কালিহাতী উপজেলার শতাধিক বাড়ি যমুনা ও লোহজং নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ৮০ বছর বয়সী নূর মোহাম্মদ নিজের বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে চলে গেলে করুণ আর্তচিত্কারের সময় দু’হাত আকাশের দিকে তুলে বলছিলেন- আমাগো অহন কেড়া দেখবো, আমরা অহন কি খামু কি করমু? উপজেলার কয়েকটি গ্রামের শতাধিক বাড়ি-ঘর ইতিমধ্যে যমুনা ও লৌহজং নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকায় নতুন নতুন জনপদ রয়েছে ভাঙনের হুমকিতে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা মানবেতর জীবনযাপন করলেও সরকারি সাহায্য এখনো মেলেনি তাদের ভাগ্যে।
উপজেলার পশ্চিমে দুর্গাপুর, গোহালিয়াবাড়ী, সল্লা ইউনিয়ন এবং এলেঙ্গা পৌরসভার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে যমুনা ও লৌহজং নদী। এবার বর্ষা মৌসুম শুরু হতে না হতেই উজান থেকে নেমে আসা স্রোতে উপজেলার বেলটিয়া, শ্যামসৈল, আলীপুর, আফজালপুর, বিনোদ লুহুরিয়া, বিয়ারা মারুয়া, কুর্শাবেনু, বেনুকুর্শা, যোকারচর, মীর হামজানি, হাতিয়া, মগড়া, টিকুরিয়াপাড়া ও বাঁশি গ্রামের শতাধিক বাড়ি-ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া প্রতিদিনই নতুন নতুন বাড়ি-ঘর ভাঙনের শিকার হচ্ছে। হুমকিতে রয়েছে অসংখ্য পরিবার। নদী ভাঙনে সহায়-সম্বল সবকিছু হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছে অন্যের বাড়িতে কিংবা খোলা জায়গায়।
কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু নাসার উদ্দিন বলেন, উপজেলায় নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তাত্ক্ষণিক সাহায্য দেওয়ার জন্যে তালিকা করা হচ্ছে। এছাড়া ভাঙনের শিকার কয়েকটি পরিবারের মধ্যে কিছুদিন আগে নগদ টাকা এবং ঘর নির্মাণের জন্য ঢেউটিন বিতরণ করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ বলেন, ভাঙন পয়েন্টগুলো পরিদর্শন করেছি। ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে একটি প্রকল্প ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।
সুত্রঃ ittefaq.com.bd