কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ চলতি অর্থবছরে প্রথম চার মাসে চিংড়ি রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৭ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় ১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি । সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর মেয়াদে চিংড়ি রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪ কোটি ৮ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ১৭ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ে চিংড়ি রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৬ কোটি ২০ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। জুলাই-অক্টোবর মেয়াদে রপ্তানিকৃত চিংড়ি মোট মাছ রপ্তানি আয়ের প্রায় ৯১ দশমিক ৩১ শতাংশ।
ইপিবির পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানিতে এই সময় আয় হয়েছে ১৯ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা। চলতি অর্ধবছরের অক্টোবর মাসে এই খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৫ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার বা ৪৬৯ কোটি টাকা। এতে আরো জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৩ কোটি ৫৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই খাতে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে মৎস্য রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে এই সময়ে আয় হয়েছে ১৯ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ দশমিক ০৮ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে গত (২০১৫-১৬) অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর মেয়াদের তুলনায় এবার এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রার আয় ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৭ কোটি ৮৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর মেয়াদে জীবিত মাছ রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ কম। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের আয় ৭৯ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়েছে।
সুত্রঃ jaijaidinbd.com কৃপ্র/ এম ইসলাম